মালয়েশিয়ার ই’মি’গ্রেশন বিভাগের সাবেক অফিসারের সহায়’তায় ২১ হাজার ৩৭৮টি ভু’য়া অস্থায়ী কর্মসংস্থান পরিদর্শন পাস (পিএলকেএস) শনাক্ত করেছে দেশটির দু’র্নী’তি দমন কমিশন। আর এসব অস্থা’য়ী
ওয়ার্ক ভি’জিট পাস (পিএলকেএস) পাওয়া বেশিরভাগই বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তানের বা’সিন্দা বলে জানা যায়। তাদের শনা’ক্তকরে আ’ইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর জড়িত স্ব স্ব দেশের নাগরিকদের
মালয়েশিয়া থেকে কা’লো তালি’কাভুক্ত করে ব’হিষ্কা’র করা হবে বলে জানান ই’মিগ্রে’শনের মহাপরিচালক দাতুক খায়রুল দাযাইমি দাউদ। স্থানীয় সময় বুধবার (৭ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার দুর্নী”তি দমন কমিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইমি’গ্রে’শনের মহাপরিচালক দাতুক খা’য়রুল দাযাইমি দাউদ জানান, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে এক বাংলাদেশী কর্মীকে গ্রে’ফতা’রের পর অননুমোদিত অস্থায়ী কর্ম’সংস্থান পরি’দর্শন পাস (পিএলকেএস) পাসের বিস্তারিত তদন্ত শুরু করে ই’মিগ্রে’শন বিভাগ।
গত বছর থেকে এই সিন্ডিকেট এবং তাদের কার্যক্রম ‘ট্র্যাক করা শুরু হলেও কো’ভি’ড-১৯ প্রা’দুর্ভা’বে’র কারণে তাদের চিহ্নিত করতে কিছুটা সময় লে’গে যায়। তদন্তে দেখা যায়, মালয়ে’শিয়ার ই’মিগ্রেশ’নের ওয়েবসাইট (এমওয়াইআইএমএমএস) হ্যাক করার মাধ্যমে ভুয়া ভিসা স্টিকারের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই কার্যক্রমের সাথে জড়িতদের মধ্যে একজন ইমি’গ্রে’শন বিভাগের সাবেক অফি’সা’রও ‘ছিলেন। এছাড়াও এই সি’ন্ডি’কে’টের নেতৃত্বে একজন ‘দাতুক’ রয়েছে, যিনি ইমি’গ্রে’সন বিভা’গের কার্যক্রম ও ব্যবস্থার সাথে জড়িত’ ছিল।
ত’দ’ন্তে উঠে আসা এই সি’ন্ডি’কেট বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছিল যার ফলে সরকার’ অপ’রিশোধি’ত শুল্কে’র মাধ্যমে ৪ দশমিক ৭ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত লোকসান করেছে। অভিবাসন বিভাগের সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ভোর থেকে দেশটির রাজধানী কুয়ালা’লামপুরের আ’শেপাশের ২২টি স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩ থেকে ৪৩ বছর বয়সী সকল ব্যক্তিকে আ’ট’ক করা হয়। অন্যদিকে গ্রে’প্তা’র হওয়া আরও তিনজন সিন্ডি”কেট সদস্য বলে মনে করা হচ্ছে যারা হাজার হাজার রিঙ্গিতের জন্য ভু’য়া পাস বিক্রি করতে সহায়তা করতেন।
এই পাসগুলি বেশি’রভাগই বাগান, উৎপাদন এবং পরিষেবা খাতে কাজ করা বিদেশীদের কর্মীদের দেওয়া হয় বলে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, মালয়েশিয়ার দু’র্নী’তি দমন কমিশন ও অভি”বাসন বিভাগের সাম্প্রতিক যৌ’থ অভিযানে প্রায় ২৫ মিলিয়ন মূল্যের সম্পদ উ’দ্ধার করে যার মধ্যে ১২টি বিলা’সবহু’ল প্রাইভেট কারসহ ৬৬টি যানবাহন, ৩৪টি ব্র্যা”ন্ডেড ঘড়ি এবং নগদ ৫ লাখ মালয়ে’শি’য়ান রি’ঙ্গিত জ’ব্দ করা হয়।