গত ১০ই ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ সেলাঙ্গর প্রদেশের জালান পুতেরি, বান্দার পুতেরি পুচং এলাকায় প’তি’তাবৃত্তি পরিচালনাকারী দুটি ম্যাসেজ সেন্টারে অভিযান চালিয়ে মোট ১৪ জন অভিবাসী এবং একজন স্থানীয়কে গ্রে’ফতার করতে সক্ষম হয়। করোনাকালীন সময়ে ল’কডাউন বা মুভমেন্ট কন্টোল অর্ডার(এমসিও) উপেক্ষা করে প’তি’তাবৃত্তি কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে দ্বিতল ভবনে ঐ অভিযান চালানো হয়। এই কার্যক্রমটি আড়াল করার জন্য প্রাঙ্গণের বাইরে কোন ধরনের সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়নি।
গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান সুত্রে জানা যায়, এই বানিজ্যিক দ্বিতল ভবনে প’তি’তাবৃত্তি ও যৌ”’ন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৮০-২২৫ রিঙ্গিত পর্যন্ত প্যাকজের মাধ্যমে গ্রাহকদের যৌ””ন সেবা দিয়ে আসছিলো। ইমিগ্রেশন বিভাগের অপারেশনস ইনভেস্টিগেশন এবং প্রসিকিউশন বিভাগের অপারেশন ইউনিটের ৩৫ জন ইমিগ্রেশন অফিসারের যোগ দেয়ার পর ঐ এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪ টায় একযোগে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় দরজা খোলার আহ্বান জানালে কেউ দরজা না খোলায় দুটি দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয় অভিযানকারী দল। ইমিগ্রেশন অফিসারগণ যৌ””ন কর্মীসহ তাদের কাস্টমারদের পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রে”ফ”তার করে এবং সেখানে দায়িত্বে থাকা স্থানীয় নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয় যদি তারা পালিয়ে যেতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলো।
তদন্তে জানা যায়, তারা এই যৌ”’ন কার্যক্রমটি পরিচালনা করার জন্য মোবাইল ভিত্তিক টেলিগ্রাম অ্যাপ ব্যবহার করে কাস্টমারদের এই স্থানে নিয়ে আসে। এই অভিযানে, মোট 15 জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ১১জন ভিয়েতনামি যৌ””ন কর্মী, ৩ জন বাংলাদেশী এবং স্থানীয় এক ব্যক্তি রয়েছেন যিনি এই প’তি’তালয়টি পরিচালনা করে আসছিলেন।
গ্রে”’ফতারকৃত অভিবাসীদের কারো কাছে বৈধ কাগজপত্র পত্র পাওয়া যায়নি। এদের বেশিরভাগই ভিজিট ভিসায় প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে বসবাস করে আসছিলো। তাদের সবাইকে গ্রে”ফ”তার করে ইমিগ্রেশন আইন অনুযায়ী বিচার করার জন্য নিয়ে যাও হয়েছে।