মানুষ কেনো প্রবাসে আসে? যারা অলরেডি প্রবাসে আছে, তাদের কাছে আপনি, প্রবাসে আসার পরামর্শ চাইলে, হাতে গুনা ২/১ জন বাদে, প্রায় সবাই প্রবাসে আসতে নিষেধ করে। আমার বেলাতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। বহু ঘুরাঘুরি করেও যখন, দেশে মনের মত এবং চাহিদা অনুযায়ি বেতনে চাকরিটা না জুটে। একটা ছোটখাটো ব্যবসা ধরার জন্য, বহু আত্বিয় স্বজনের পিছু পিছু টাকার জন্য ঘুরেও যখন কারো শায় না মিলে।
বেকার পরিবারের বুজায় পরিনত হওয়া মানুষ’টা ইচ্ছাকৃত বা পরিবারের চাপে ঠিক তখনই পা বাড়ায় প্রবাসের পথে। এখানে বড় কষ্টকর একটি বিষয় যা না বললেই নয়, ব্যবসার জন্য আপনাকে টাকা না দেওয়া সেই আত্বিয়টাই, বিদেশের কথা শুনে আপনাকে সবার আগে টাকা বের করে দেবে। কারন সবারই ধারনা, বিদেশে টাকা আর টাকা।
বহু নিষেধ করা সত্যেও যারা প্রবাসে আসে, তারাও একটা সময় কেউ পরামর্শ চাইলে, তাকে নিষেধ করে বিদেশে আসতে। কারন যারা আসে তারা, এসে এক রকম দায়িত্বের কারাগারে বন্ধি হয়ে যায়। ঋন আর পরিবারের কথা ভেবে শত অনিচ্ছা সত্যেও পরে থাকতে হয় মুখ বুজে। প্রবাস লাইফ’টা মূলত ভাগ্যের উপর নির্ভরশীল, অনেকেই প্রথম এসেই সেটেল হয়ে যেতে পারে। অনেকে আবার কোম্পানি চেন্জ করেন বছর বছর।
অনেকের আবার প্রথম এসে ধরা খেয়ে স্বাদ মিটে যায় প্রবাসের। অনেকে আবার হুচুট খেতে খেতেই দাড়ানো শিখে, একটা সময় সফলও হয়। শখের বসে যারা প্রবাসে আসে, ধাক্কাটা তারাই একটু বেশি খায়। বাবা মার নিষেধ সত্যেও অতি উৎসাহি হয়ে যারা প্রবাসে আসতে পাগল হয়ে যায়, প্রবাসে কষ্ট’টা তাদের একটু বেশিই লাগে। দূর থেকে প্রবাস’টা দেখতে স্বপ্নের মত মনে হলেও, আসলে বাস্তবে তা অন্যরকম। তবুও মিথ্যে করে হলেও, সবাইকে বলতে হয়, খুব ভাল আছি, আমাকে নিয়ে একদম ভেবনা। সুমন সিকদার, সিঙ্গাপুর প্রবাসী।